‘ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করলে ওই ব্যক্তি মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এটা একটা জঘন্য অপরাধ। এ ধরণের কাজ সামাজিক অবক্ষয়ের উদাহরণ।’
ফেসবুকে কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট দেওয়া জঘন্য অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসানের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এক দম্পতির জামিন আবেদনের শুনানিকালে আদালত এ মন্তব্য করেন। পরে আদালত মামলার আসামি মো. আক্তারুজ্জামান ও তার স্ত্রী তামান্না বেগমের জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘তামান্না বেগম একটি ফেসবুক আইডি থেকে বরগুনা সদর উপজেলার লতাবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ডলি আক্তারের সম্পর্কে অবমাননাকর একটি পোস্ট দেন। যে ফেসবুক আইডিটি খুলতে তার স্বামীর মোবাইল ব্যবহার করা হয়। অবমাননাকর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ওই শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে তামান্না বেগম ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে তামান্না বেগম ১৬৪ ধারায় তার অপরাধ স্বীকার করেন। এই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর ওই দম্পতি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে। সে আবেদনের শুনানি আদালত কারাগারে থাকা দম্পতির দুটি শিশু সন্তান থাকা এই বিবেচনায় তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
একইসাথে আদালত বলেছেন, জামিনে মুক্ত হয়ে তামান্না বেগম যেন তার ভুল স্বীকার করে এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।

Prev Post
Next Post
Comments