এমন অনেক রেকর্ডেই আছে বাংলাদেশের নাম। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান কিংবা অভিষেকে ১০ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকানো। এবার আরও একটি রেকর্ডে যুক্ত হলো বাংলাদেশের নাম। যে রেকর্ড আছে শুধু একজনেরই, তিনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
১৮৭৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম স্বীকৃত টেস্ট ম্যাচ। হারারেতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের চলমান টেস্ট ম্যাচটা ইতিহাসের ২ হাজার ৪২৭তম। তাই বলাই যায় টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘ এই ইতিহাসে আছে অজস্র রেকর্ড।
গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টের পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অনেকটা ব্রাত্য হয়ে যান সাইলেন্ট কিলার খ্যাত মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট ক্রিকেটে দল যখন ধুঁকছে, তখন নির্বাচকরা আবারও ডাক দেন তাকে। প্রায় ১৭ মাস পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামেন। হারারেতে প্রথম দিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় দল যখন ধুঁকছিলো, হাল ধরেন রিয়াদ। প্রথম দিনই তুলে নেন ফিফটি। তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে শেষ করেন দিন।
দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই তাসকিন ও মাহমুদউল্লাহ জুটি দারুণ খেলেছেন। জিম্বাবুয়ে বোলারদের কোনো সুযোগই দেন নাই। লাঞ্চ বিরতির আগেই মাহমুদউল্লাহ নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি আর তাসকিন তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি।
লাঞ্চের পরেও চলতে থাকে তাদের ব্যাটিং দাপট। আর এর মধ্যেই এই জুটি গড়েছে অনন্য এক রেকর্ড। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়ে গেছেন ইতিহাসের অংশ। টেস্টে নবম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ১৮৪। ২০১২ সালে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই রেকর্ড করেন আবুল হাসান রাজু ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিষেকে ১০ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে হৈ-চৈ ফেলে দেন রাজু। মাহমুদউল্লাহ করেছিলেন ৭৬ রান।
এবার তাসকিনকে নিয়ে নবম উইকেটে বড় জুটি গড়েছে বাংলাদেশ। এই জুটি ছাড়িয়েছে দেড়শ’ রান। টেস্ট ইতিহাসে এক ব্যাটসম্যানের দুইবার দেড়শ’ ঊর্ধ্ব জুটিতে থাকার কোনো নজির নেই। স্টিভ ওয়াহ, পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ ও ভারতের সৈয়দ কিরমানির একশ’র বেশি দুটি করে জুটির পাশে নাম আছে। তবে মাহমুদউল্লাহই একমাত্র ব্যাটসম্যান যার দুটি জুটিই দেড়শ’র উপরে।
১৯৯৮ সালে জোহানেসবার্গে পাকিস্তানের বিপক্ষে মার্চ বাউচার ও প্যাট সিমকক্সের ১৯৫ রান ৯ম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। কিন্তু মাত্র ৪ রানের জন্য বিশ্ব রেকর্ড ছুঁতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ–তাসকিন জুটি।

Prev Post
Next Post
Comments