অনিক চৌধুরী, মোংলা থেকে।।
বন্দর নগরী মোংলার শিল্পাঞ্চলের সকল মিল-কারখানা খুলে দেয়ায় পুরাতন মোংলা বন্দরের আবাসিক এলাকা গুলো থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার শ্রমজিবী মানুষকে মোংলা নদীর মামার ঘাটে অবস্হিত খেয়া পারাপার হয়ে কাজে যেতে হয়।
মোংলা বন্দরের শিল্পাঞ্চলে প্রায় ২৭ টি ছোট-বড় মিল-কারখানাসহ ইপিজেড ও অর্থনৈতিক জোনের বেশ করেলটি মিল-কারখানায় মোংলার এপারের প্রায় ৭/৮ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
শুধু আবাসিক এলাকা থেকে নয় মোংলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকেও প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক মোংলা খেয়াঘাট পার হয়েই ইপিজেড এ কাজের জন্য যায় “।
এছাড়া বন্দর জেটিতে আগত বিদেশী জাহাজের পন্য খালাস ও বোঝাই এর কাজেও মোংলার শত শত প্রশিক্ষিত শ্রমিক কাজ করেন।
এই শ্রমিকদের প্রায় সকলেরই আবাসস্হল মোংলা নদীর এপার অবস্হি।
ইতিপূর্বে মোংলার স্হানীয় প্রশাসন কতৃক শ্রমিকদের পারাপারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করনের জন্য খেয়া পারাপারে সংশ্লিষ্টদের বার বার শতর্ক করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী একটি নৌকায় ২০ জনের বেশি পারাপার করা যাবেনা বলে একটি নির্দেশনা প্রদান করলেও সেটি মানা হচ্ছে না। একটি নৌকায় কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ জন পারাপার করা হচ্ছে।
এছাড়া স্হানীয় শ্রমিকরাও স্বাস্হ্য সচেতন না হওয়ায় ঘাটে এসে পারাপারের জন্য ভীড় করে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম না মেনে গা ঘেসাঘেসি করে পারাপারের জন্য অপেক্ষা করেন।
এ বিষয়ে পারাপারের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলেন, তারা যাত্রীদের ২০ জনের বেশি নৌকায় উঠতে নিশেধ করলেও, যাত্রীরা তা শোনেন না। তড়িঘড়ি করে তারা লাফিয়ে লাফিয়ে নৌকায় উঠে পড়েন। নামাতে গেলে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়েন যাত্রীরা।
মোংলা বন্দর মাঝিমাল্লা সংঘের সভাপতি আব্দুর রব বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে আমরাও অতিদ্রুত ঘাটে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী কামনা করছি। কারন সাধারন যাত্রীরা আমাদের কোন অনুরোধে কর্নপাত করেন না।
প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে ৯টা ও বিকেল ৪ টা থেকে স্বন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এই ভীড়টি বেশি হয়। কারন এসময় সকল শ্রমিক ও কর্মজিবী মানুষ কাজে যায় এবং কাজ থেকে ফেরে।
সচেতন মহল মনেকরেন, এই সময়টুকুতে যদি আইন শৃংক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে আনা যায়, তাহলে এই সমস্যা থেকে উত্তরন সম্ভব।
নতুবা এভাবে চলতে থাকলে যে কোন সময়ে মোংলায় করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাব ঘটতে পারে।