কানাডীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় জোরপূর্বক আদিবাসী শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হতো। যেটাকে সাংস্কৃতিক গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বিলুপ্ত এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ২০১৫ সালে তদন্ত শুরু হয়েছিল।
কানাডার একটি আবাসিক স্কুলে ২১৫টি শিশুর মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে চীন ও তার মিত্ররা। গত মাসে ব্রিটিশ কলোম্বিয়ায় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য সাবেক একটি স্কুলে এসব দেহাবশেষ পাওয়া যায়।
এসব শিশুদের কারো কারো বয়স তিন বছরের মতো। কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই ঘটনাকে হৃদয়বিদারক বলে মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (২২ জুন) জেনেভায় জাতিসংঘে চীনের মিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিয়াং ডুয়ান বলেন, আমরা শিশুসহ আদিবাসীদের বিরুদ্ধে সব অপরাধের ঘটনার বিস্তারিত ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।
মানবাধিকার কাউন্সিলকে তিনি বলেন, তদন্ত এ জন্যই চাওয়া হচ্ছে, যাতে ভুক্তভোগীরা প্রতিকার পান এবং দায়ীদের ন্যায়বিচারের আওতায় নিয়ে আসা যায়।
রাশিয়া, বেলারুশ, ইরান, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া ও ভেনিজুয়েলার পক্ষে বিবৃতি পাঠ করেন জিয়াং ডুয়ান।
পরে চল্লিশটিরও বেশি দেশের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলমানদের আটক কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশের অনুমোদন চেয়ে আহ্বান জানিয়েছে কানাডা।
কানাডীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় জোরপূর্বক আদিবাসী শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হতো। যেটাকে সাংস্কৃতিক গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বিলুপ্ত এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ২০১৫ সালে তদন্ত শুরু হয়েছিল।
মানবাধিকার পরিষদকে কানাডীয় রাষ্ট্রদূত লেসি নরটন জানান, কামলুপসে যা ঘটেছে, তা ব্যতিক্রমী কিংবা বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, আদিবাসী শিশুরা সেখানে মারাত্মক অন্যায় অবিচারের শিকার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর বিবরণ অনুসারে আমরা স্বীকার করে নিয়েছি, আদিবাসীরা এখনো পরিকল্পিত অন্যায়, বৈষম্য ও বর্ণবাদের মুখোমুখি।
তিনি বলেন, এসব সংকটের সমাধানে কাজ করা হচ্ছে। আক্রান্ত সম্প্রদায়গুলোকে সহায়তা করা হচ্ছে।

Comments