এস এম মমিনুল ইসলাম মনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
করোনার অতিমাত্রায় সংক্রমন ও মৃত্যু কমাতে সরকার ঘোঘিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জিরো টলারেন্সে অটল মোরেলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট মনিরুল হক।
আজ সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক মোরেলগঞ্জে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সকাল থেকেই পৌরসভার কাউন্সিলদের সাথে নিয়ে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে সকল জনসাধারনকে নিরাপদে ঘরে অবস্হান করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
সাধারন মানুষদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করিয়েছেন। এছাড়া তিনি জনগনের মাঝে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন করেছে।
কাচা বাজার, মাছ বাজার ও মাংস বাজারকে উন্মুক্ত স্হানে স্হানান্তর করার নির্দেশনা দিয়েছেন। কোন প্রয়োজন ছাড়া অযথা কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যাবস্হা গ্রহনের জন্য আইনশৃংক্ষলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মনিরুল হক বিএনএনকে বলেন, সাধারন মানুষের জিবন রক্ষার্থে তাদেরকে অবশ্যই সরকার নির্দেশিত সকল নিয়ম ও আদেশগুলো আগামী সাতদিন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কিছু মানুষের খামখেয়ালির জন্য কখনোই মোরেলগঞ্জ পৌরসভার হাজার হাজার মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে দেওয়া হবেনা।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ পৌরসভা পরিষদ ‘জিরো টলারেন্স’ সিদ্ধান্তে কঠোর অবস্হান গ্রহন করেছে। সরকার সাধারন জনগনকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা মোরেলগঞ্জ পৌরসভায় করোনা আক্রান্তের হার শুন্যের কোঠায় না আনা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।
তিনি আরো বলেন, মোরেলগঞ্জ পৌরসভায় বসবাসরত হতদরিদ্র ও নিত্য শ্রমজিবী মানুষের জন্য বিশেষ খাদ্য সহায়তা গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া আমি ব্যক্তিগতভাবেও প্রতিদিন তিনশতাধিক গরীব শ্রমজিবী পরিবারকে এই সাতদিন খাদ্য সহায়তা প্রদান করবো।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর মেয়র মনিরুল হক এর এরকম দায়িত্বশীল ভূমিকার জন্য শহরের অধিকাংশ মানুষই কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন সকল নিয়ম ও আদেশ মেনে চলাফেরা করছেন। তবে শহরতলির কিছু কিছু এলাকায় ছোট ছোট চায়ের দোকান ও কিছু যানবাহন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে।

Prev Post
Comments