
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিবকে দলে পাওয়াটা হবে স্বস্তির। বাড়বে দলের ভারসাম্য। এমনটাই মনে করেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কথা না ভেবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ হিসেবে চাপ মুক্ত থেকে খেলতে চায় টাইগাররা। আর ইনজুরির পুনর্বাসন শেষে প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরবেন জানিয়েছেন টেস্টের দলপতি।
বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো নিষেধাজ্ঞায় চলে গেলেন সাকিব। নেতৃত্বশূন্য হলো টাইগারদের টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি দল। বলতে গেলে বড় দুঃসময়েই গুরু দায়িত্বটা কাঁধে নিতে হয়েছিলো মুমিনুলকে। তাও আবার পারফরম্যান্স বিবেচনায় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা এলিট ফরম্যাটের ব্যাটনটা তরুণ ব্যাটসম্যানের হাতে তুলে দেয় বিসিবি।
১১ মাস পর সাদা পোশাকে নতুন করে যখন মাঠে ফিরতে যাচ্ছে টাইগাররা, তখন নিষেধাজ্ঞা কাটানো সাকিব আল হাসানও ফিরছেন ইন্টারন্যাশনাল সার্কিটে। মিমির জন্য খবরটা স্বস্তির।
মুমিনুল হক বলেন, ইয়াং ক্যাপ্টেন হিসেবে সাকিব ভাইকে দলে পাওয়া স্বস্তির। উনি দলে থাকলে একটা ভারসাম্য থাকে। একটা ব্যাটসম্যান বা বাড়তি বোলার নেয়ার অপশন থাকে। সে এক্সপেরিয়েন্সড প্লেয়ার, চ্যাম্পিয়ন।
জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সুখস্মৃতি। ঘরের মাঠে এই ম্যাচটা অবশ্য টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ ছিল না। অধিনায়কত্ব করা ৪টা ম্যাচের বাকি তিনটিই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। ভারত আর পাকিস্তানের বিপক্ষে যে তিন ম্যাচেই ইনিংস হারের লজ্জায় পুড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে সেসব মাথায় নিয়ে চাপ বাড়াতে চাননা মুমিনুল।
তিনি বলেন, টেস্ট খেলতে নেমে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কথা মাথায় রাখলে আপনি খেলতেই পারবেন না। এতদিন পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলার সুযোগ পাচ্ছি আমরা। সবার সেরাটা দিয়ে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আর ওগুলো নিয়ে ভাবলে, আপনাদের এক্সপেকটেশন নিয়ে ভাবলে চাপ বাড়বে।
দেশের মাটিতে ব্যাটটা দুর্দান্ত কথা বলে মিমির। তবে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবনা নেই। টানা তিন সিরিজ হেরে আসা ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসে উড়তেও নারাজ।
মুমিনুল বলেন, ওরা ৩টা সিরিজ হেরেছে মানে এই না যে এখানে হারবে। এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। উলটো তারা কামব্যাক করতে চাইবে।
ইনজুরি থেকে পুনর্বাসন চলছে। সব ঠিক থাকলে টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচেই মাঠে দেখা যাবে টেস্ট ক্যাপ্টেনকে।