বরিশালে অবৈধভাবে মদ বিক্রি এবং সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের পর এবার ২৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। রোববার (১৯ এপ্রিল) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মামুন সাক্ষরিত বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ৭ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৬ এপ্রিলের মধ্যে ২৫ জনকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়। বদলি করা কর্মস্থলে যোগ না দিলে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে গণ্য হবে।
বদলি হওয়া ২৫ জনের মধ্যে পরিদর্শক পদে তিনজন, উপ-পরিদর্শক পদে ৪ জন, সহকারি উপ-পরিদর্শক পদে ৫ জন, সিপাহী পদে ৬ জন, হিসাবরক্ষক পদে ১ জন, ড্রাইভার পদে ২ জন, কম্পিউটার অপারেটর, ওয়ারলেস অপারেটর, অফিস সহায়ক ও অফিস সহকারি পদে ১ জন করে রয়েছেন।
এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক এ কে এম হাফিজুর রহমানকে পৃথক আদেশে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ে বদলি করা হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৮ এপ্রিল) লকডাউন উপেক্ষা করে জনসমাগম এবং অবৈধভাবে মদ বিক্রির অভিযোগ ওঠে বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরামান অবৈধভাবে মদ বিক্রির ছবি তুলতে যান। এসময় সেখানে উপস্থিত কর্মচারীরা ওই ক্যামেরাম্যানকে ধরে অফিসের মধ্যে নিয়ে নির্যাতন করেন। এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন মহলে অবহিত করা হয়।
আজ রোববার এ বিষয়ে সময় টেলিভিশনে একটি সংবাদ প্রচার হয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালকসহ জেলা কার্যালয়ে মোট ২৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করে আদেশ জারি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।